1. admin@dailyprothomsongbad.com : admin :
  2. drsagor3040@gmail.com : Sardar Mohammad Uttal : Sardar Mohammad Uttal
  3. rakibrimon4949@yahoo.com : Md Rakib Rimon : Md Rakib Rimon
  4. rubelnews9780@gmail.com : Md Rubel Hossain : Md Rubel Hossain
বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁয় বুলু উকিলের আঘাতে মোয়াক্কেলের মাথা ফাটায়; থানায় অভিযোগ নওগাঁ-০৬(আত্রাই-রাণীনগর)আসনে বাংলাদেশ জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী খবিরুল ইসলাম মান্দায় অসহায় ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ নওগাঁ থেকে আলোচিত  সুবা  উদ্ধার নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে হুমকি – আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাডার  নওগাঁয় অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে শরীরচর্চা আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত নওগাঁয় বিএনপি নেতা তুহিনের উদ্যোগে ২ হাজার শীতার্ত পেল শীতবস্ত্র নওগাঁয় ডাক্তারের দুর্ব্যবহার: সেবা নিতে এসে অপমানিত রোগীরা হাট নওগাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত নওগাঁয় সমন্বয়ক পরিচয় দানকারীর ভাই ছাত্রলীগ নেতা রকি গ্রেফতার

নওগাঁয় ছোট যমুনা নদীতে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে কৈলাশে ফিরলেন দেবীদুর্গা

  • প্রকাশকাল: রবিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৩৮ বার পড়েছেন

নওগাঁ প্রতিনিধি: একবার বিদায় দে মা ঘুরে আসি। বিদায়ের সুর বাজলেও বিদায় দিতে কষ্ট হচ্ছে তাদের। রবিবার ১৩ অক্টোবর শুভ বিজয়া দশমী। এই দিনেই দেবী মত্যলোক ছেড়ে ফিরে যাবেন স্বামীগৃহ কৈলাশে। তাই মণ্ডপে মণ্ডপে আজ শুধুই বিষাদের ছায়া। উলুধ্বনি, শঙ্খ, ঘণ্টা আর ঢাকঢোলের বাজনায় থাকবে দেবী দুর্গার বিদায়ের সুর।

গত বুধবার ৯অক্টোবর অক্টোবর কৈলাশ থেকে মর্ত্যলোকে আসে দেবীদুর্গা। মহাষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয় শারদীয় দুর্গাপূজা। এরপর হাসি-আনন্দ আর পূজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে কেটে গেছে চার দিন। রবিবার সন্ধ্যায় বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বিদায় জানানো হবে দেবী দুর্গাকে। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়েই শেষ হবে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা।

এদিন নওগাঁর ছোট যমুনা নদীতে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে ৫দিনব্যপী শারদীয় দূর্গোৎসব শেষ হয়েছে। এর আগে এদিন সকালে মন্ডপে মন্ডপে আনুষ্ঠানিক পূজা অর্চনা এবং সিঁদুর খেলার মধ্যে দিয়ে ভক্তরা মা দূর্গাকে স্ব স্ব অধিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় দেন। এরপর বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে প্রতিমাগুলো নিজ নিজ মন্ডপ থেকে নদীতে এনে নৌকায় তোলা হয়। পরে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতিমাবাহী এবং বিভিন্ন সংগঠন, পারিবারিক এবং গোষ্ঠীভিত্তিক নৌকাগুলো নদীতে নৌকা বাইচের মত আনন্দ করে। উত্তরে বিজিবি ক্যাম্প এবং দক্ষিণে পালপাড়া পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার জুড়ে চলতে থাকে নৌকা বাইচের মত নৌবহর। নৌকায় নৌকায় ঢাক ঢোল, কাঁশা আর মাইকে গানের শব্দে মুখরিত হয়ে উঠে নদীর দুই পাড়। নদীর উভয় পার্শ্বে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার নারী পুরুষ, শিশু কিশোর, যুবক যুবতিসহ সব বয়সের মানুষ এ নয়নাভিরাম দৃর্শ্য অবলোকন করেন। সন্ধ্যার দিকে নদীর বক্ষে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়। জলাশয়ে বিসর্জন দেওয়া হয় প্রতিমাগুলো। বিসর্জনের আগে শোভাযাত্রা বের হয়। নাচে- গানে, হাসি মুখে দেবীকে বিদায় জানানো হয়।

এদিকে বিজয়া দশমী উপলক্ষে শহরের প্রতিটি সড়কে, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়ে তোলে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।

এর আগে গত শুক্র ও শনিবার অষ্টমী ও মহানবমীতে শহরের এবং জেলার বিভিন্ন মন্দির-মন্ডপে দর্শনার্থীর ভিড় ছিল অনেক বেশি। অনেক মন্ডপে মানুষের ভিড় ছিল উপচে পড়া।

পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, মহাষষ্ঠীর দিন দেবী দুর্গা তার সন্তান সরস্বতী, লক্ষ্মী, গণেশ এবং কার্তিককে নিয়ে মর্তে অবতরণ করেন। হিন্দু ধর্ম অনুসারে বিশ্বাস করা হয়, দেবী দুর্গা মহাঅষ্টমীতে মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। এই জন্যেই বিশ্বাস করা হয় এই উৎসব খারাপ শক্তির বিনাশ করে শুভশক্তির বিজয়ের প্রতীক। তাই দুর্গাপূজা উপলক্ষে মহাষষ্ঠী, মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, মহানবমী এবং বিজয়া দশমী পালন করা হয়। প্রতিটি দিনেই নিজস্ব অর্থ এবং তাৎপর্য রয়েছে।

অপরদিকে বিসর্জনের আগে প্রতিমাগুলো বরণ করে হিন্দু মহিলারা ‘সিঁদুর খেলাতে’ মেতে ওঠেন। স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন নারীরা নিজ কপালে সিঁদুর লাগান। সেই সিঁদুরের কিছু অংশ দিয়ে দেবীর চরণ স্পর্শ করে থাকেন। তারপর সবাই মিলে একে অপরকে সিঁদুর মাখেন। দুর্গা আগামী বছর আবার শাখা সিঁদুর সঙ্গে নিয়ে আসবেন।

নওগাঁ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ চন্দ্র সরকার বলেন, নওগাঁ জেলায় এবার ৭৫৮ টি মন্ডপে পূজা উৎযাপন হয়েছে। পৌরসভায় ৫৮ এবং সদর উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ৬৪টি। জেলার আত্রাই উপজেলায় ৪৬টি, রাণীনগরে ৩৪টি, ধামইরহাটে ৩০টি, পত্নীতলায় ৮২টি, মহাদেবপুরে ১৫০টি, বদলগাছীতে ১০২টি, নিয়ামতপুরে ৫৮টি, পোরশায় ১৩টি, সাপাহারে ১৮টি এবং মান্দায় ১০৩টি মন্ডপে পূজা উৎযাপন হয়েছে। গতবার ছিল ৮২৭ টি। দেবী দূর্গার এবারে মর্তলোকে আগমন হয়েছিল দোলায় বা পালকিতে চড়ে এবং কৈলাশে গমন হয়েছে ঘোটক বা ঘোড়ায় চড়ে। বুধবার ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছিল এবং আগামী শনিবার ১২ তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়েছিল। কিন্তু আজ বিসর্জন দেওয়ার মাধ্যমে সমাপ্ত হচ্ছে সবচেয়ে বড় এই পূজার অনুষ্ঠান।

তিনি আরও বলেন, এই জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দূর্গা উৎসব পালন করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এ উৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। সম্প্রীতির বন্ধন অটুট ছিল। পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনী থেকে আমাদেরকে সার্বিক সহযোগীতা করেছেন।

নওগাঁর পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, আজ শুভ বিজয়া। এই উপলক্ষে শহরের ছোট যমুনা নদীতে নৌকা বহর উপলক্ষ্যে নদীর দুই পাশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের পুলিশ সদস্যরা নৌকা নিয়ে টহল দিবে। রেসকিউ টিম আছে। ডিবি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে মোতায়েন আছে। এছাড়া আমরা সবসময় মনিটরিং করছি। পাশাপাশি আছে সেনাবাহীনিসহ আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত অন্যান্য সদস্যরা। মোট কথা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু থেকে প্রতিমা বিসর্জন হওয়া পর্যন্ত আমরা সতর্ক অবস্থানে ছিলাম।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করুন

এরকম আরো সংবাদ পড়ুন...
© All rights reserved © দৈনিক প্রথম সংবাদ
Theme Customized By BreakingNews