নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ সদর উপজেলার হাসাইগাড়ী ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে প্রায় একমাস ধরে ৫টি পরিবারকে গৃহবন্দী করে রেখেছে স্থানীয় হাসান মল্লিক সহ প্রভাবশালী কিছু মাতব্বরেরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রাস্তার ধারে লাউ-কুমড়ার গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাগলকে মারধর করায় শুরু হয় ঘটনার সূত্রপাত।
স্থানীয়রা জানায়,স্থানীয় বেলাল মল্লিকের লাউ কুমড়ার গাছ খাওয়ায় মারধর করে বেলাল মল্লিক এতে ছাগলের মালিক হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে বেলাল মল্লিককে মারধর করে। পরবর্তীতে ছাগলটি অসুস্থ হলে জবাই করে তা খেয়ে নেয় ছাগলের মালিক হাসান মল্লিক এবং স্হানীয় কিছু কুচক্রী মাতববরের পরামর্শে বেলাল মল্লিক সহ তার পাশবর্তী আত্নীয়-স্বজনসহ ৫টি পরিবারের বাড়ী থেকে বের হওয়ার রাস্তার তিনদিকে বেড়া দিয়ে গৃহবন্দী করে দেয়। কিন্তু এতেও তার মনের মধ্য থেকে প্রতিশোধের আগুন নেভেনা। বেলাল মল্লিক রাত্রি প্রায় সাড়ে ১০টা সময় বিলের মধ্য বানার মাছ নিতে গেলে, সেটি টের পেয়ে স্থানীয় মাতব্বরদের পরিকল্পনায় হাসান মল্লিকসহ জব্বার, দুলাল এবং তাদের পরিবারের মহিলাদের সঙ্গে নিয়ে বেলাল মল্লিককে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে সেখানেই তাকে আক্রমণ করে এবং প্রচন্ড ভাবে ইট দ্বারা মারধর করে বেলাল মল্লিককের অন্ডকোষ চেপে ধরে পানির মধ্যে শ্বাসরুদ্ধ করে তাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। কিন্তু বিধিবাম, বেলাল মল্লিক বুঝতে পেরে, শরীরের সকল শক্তি দিয়ে পানি থেকে উঠে ডাক-চিৎকার দিতে দৌড়াতে থাকে এবং এক সময় গ্রামের মধ্যে প্রবেশ করে মোয়াজ্জেমের বাড়ির সামনে এসে পড়ে যায়। ঐ রাতেই গ্রামের সকলে জেগে উঠে বেলাল মল্লিককে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় মাতব্বরদের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনা ঘটেছে যা স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করা সম্ভব ছিল। তবে এমন বড় ধরনের ঘটনার জন্য তাদের কোন প্রকার ইঙ্গিত ছিল না বলে জানায়।
হাসান,জব্বারের কাছে জানতে চাইলে তারা জানায়, মাতব্বরের হুকুম ছাড়া বেড়া কখনোই তারা সরাবে না আর যতই মামলা মকর্দমা করুক সেটি দেখে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছে বলে তারা জানায়।
এ বিষয়ে বেলাল মল্লিক ও তার স্ত্রী জানায়, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তারা মেরে ফেলার মত তারা সিদ্ধান্ত নেয়। নওগাঁ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও এখন পর্যন্ত যাতায়াতের রাস্তার বেড়া সরাই নাই। বর্তমানে তারা চাঁদার দাবীও করছে, চাঁদার টাকা না দিলে, এইবার আর বেঁচে থাকার সুযোগও দেবে না বলে হুমকি দিচ্ছে তাই তারা বাড়ীও যেতে পারছেনা বলে জানান। তাই তারা আইনগত ভাবে সহযোগিতা চেয়েছেন প্রশাসনের কাছে।
এ বিষয়ে নওগাঁর ভীমপুর পুলিশ ফাঁড়ির তদন্ত কেন্দ্রের সাবইন্সপেক্টর জামাল উদ্দীন জানান, তিনি লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, বেড়া সরিয়ে দেওয়ার কথা তারা বলেছিলো,কিন্তু আজ পর্যন্ত সরিয়ে নেয় নাই এটি তার জানা নেই বা পরবর্তীতে তাকে কেহ জানায় নাই।