নওগাঁ প্রতিনিধি ;- নওগাঁ সদর উপজেলার হাসাইগাড়ী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন মোল্লার গরু রাখার গোয়াল ঘরে আগুন লাগিয়ে ৫টি গরুসহ সকল কিছু পুড়ে ছাই করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত রবিবার (২২ডিসেম্বর) ২০২৪ইং তারিখ রাত্রি আনুমানিক ১০.৩০ সময় পূর্বপরিকল্পিত ভাবে দূর্বৃত্তরা বর্তমান হাঁসাইগাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.জসিম উদ্দীন মোল্লার বাড়ীর সাথে লাগানো গরু রাখার গোয়াল ঘরে পরিকল্পিত ভাবে আগুন লাগিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
কিছুক্ষনের মধ্যে আগুন গোয়ালঘরে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসীরা জেগে উঠে আগুন আগুন বলে চিৎকার দিয়ে ডাকাডাকি করে গ্রামবাসীরা ও চেয়ারম্যান বাড়ির লোকজন। তাদের চিৎকারে বাড়ীতে থাকা মহিলারা ও চেয়ারম্যানের ছেলে রফিকুল ইসলাম জেগে উঠে গ্রামবাসীরা মিলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে কিন্তু আগুনের লাভা খুব দূর্ত পুরো গোয়াল ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
সেখানে থাকা ২টি ষাঁড় গরু ও ৩টি গর্ভবতী গাইগরু নিমিষে নির্মমভাবে পুড়ে মারা যায়। গোয়ালঘরের ভিতরে থাকা সকল কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং গোয়ালঘরের টিনের চালাসহ সকল টিন গুলোও পুড়ে গেছে। স্থানীয়রা জানায়, কেমিক্যাল এবং পেট্রোল মিশ্রিত করে পরিকল্পিত ভাবে এই আগুন লাগানো হয়েছে।যার জন্য কেমন জানি আগুনের ধোঁয়ার সাথে দুর্গন্ধও এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছিল।
স্থানীয়রা আরো বলেন,এই নির্মম,নিষ্ঠুর এবং অমানবিকতা এই আগুন লাগানো কর্মকান্ডে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের সকলকে যেন সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হয়। চেয়ারম্যানের ছেলে রফিকুল ইসলাম বলে,পরিকল্পিত ভাবে তাদের গোয়ালঘরে আগুন লাগানো হয়েছে এতে ২টি ষাঁড় গরুসহ ৩টি গর্ভবতী গাই গরুও পুড়ে মারা যায়। সে জানায়, নওগাঁ ফায়ার সার্ভিসে একাধিক বার ফোন করে জানালেও তারা সহযোগিতা করতে আসে নাই। পরবর্তীতে আগুনে পুড়ে সব শেষ হওয়ার পর, ফায়ার সার্ভিস থেকে ফোন দিয়ে জানায়, তারা আসবে কি-না? তখন গ্রামবাসী তাদের জানায়,আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেছে, এখন এসে তো কোন লাভ নেই।
এই গরু গুলোর মুল্যের কথা জানতে চাইলে সে বলে, প্রায় ৭লক্ষ টাকা দাম হতো। একদিকে এই গরুগুলোর শোক অন্য দিকে তারা আর্থিক ভাবেও অনেক বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া গরু গুলো গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় মাটি নিচে পুঁতে রাখা হয়েছে। সে জানায়,তাদের প্রতি কারো হিংসা,বিদ্ব্যেষ থাকতেই পারে তাই বলে এই অবুঝ গরুগুলোকে আগুনে পূড়ে মারা উচিত হয় নাই। যারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানান।
এ বিষয়ে নওগাঁর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সাফিউল আলম এর সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে, তিনি বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঐ রাতেই সেখানে যাওয়ার জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়ে ছিলাম কিন্তু পরবর্তীতে তারাই ফোন করে জানায়, আগুন নিভে গেছে এখন এসে লাভ নেই বলে জানান।
এ বিষয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম সিদ্দিকী মোবাইল ফোনে জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছিলো,লিখিত ভাবে কোন অভিযোগ কেহ দেয় নাই,অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যাবস্তা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।