ক্রাইম রিপোর্টার নওগাঁঃ
নওগাঁর বদলগাছীতে ঘুষের টাকা লেনদেনে রফাদফার বক্তব্য নেওয়ায় সাংবাদিককে তুলে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতার বিরুদ্ধে এমন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয় জাতীয় দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় তার প্রতিবাদ জানিয়েছেন আওরঙ্গজেব চৌধুরী মানিক। তিনি বদলগাছী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এবং আধাইপুর ইউনিয়নের চকবনমালি গ্রামের বাসিন্দা।
আওরঙ্গজেব চৌধুরী মানিক বলেন, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বিকেলের দিকে বদলগাছী সরকারি কলেজ গেটের সামনে আমি আমার ব্যক্তিগত কাজে যাই। সেখানে আমার পরিচিত এক ছোট ভাই আমাকে দেখতে পেয়ে ডাক দেয় তার ডাকে সাড়াদিয়ে এগিয়ে গেলে জানতে পারি গত তিন বছর আগে উপজেলার সদরের ঠাকুরপাড়া এলাকার পলাশ (৪৫) নামের এক ব্যক্তি জয়পুরহাট জেলার জামালগঞ্জ ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান সেতুর কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে প্রায় ৪৪ লাখ টাকা নেয়। এরপরই পলাশ আত্মগোপনে চলে যায়। পরে আসাদুজ্জামানের আর চাকরি হয়নি। এক পর্যায়ে বিভিন্ন মাধ্যমে কয়েক দফায় ৪০ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ফেরত পান। বাকি ৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা দিতে তালবাহানা করতে থাকে পলাশ। এরপর হঠাৎ গত ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় আসাদুজ্জামান জানতে পারে পলাশ নিজ বাসা ঠাকুরপাড়াতে অবস্থান করছেন। ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে মহিলা কলেজ গেট সংলগ্ন মুদি দোকানে পলাশকে নিয়ে আসাদুজ্জামান ও তার স্বজনরা মিটিংয়ে বসেন। মিটিংয়ে মাঝেই তাঁরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে উচ্চবাক্যে কথা শুরু করে এক পর্যায়ে আমি থামানোর চেষ্টা করি এবং থামায় তখন এলাকার এক ছোট ভাই সাংবাদিক নাম মিঠুন কোন পত্রিকায় কাজ করে জানি না সে এসে কোন কিছু না বুঝেই আমার কাছে তার হাতে থাকা মোবাইল ফোন বের করে আমার বক্তব্য চায়। আমি একটু অবাক হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করি আমি কেন বক্তব্য দিব। সে আমাকে বলে আমি এখানে কেন এসেছি এবং তাকে বক্তব্য দিতে হবে। আমি ছোট ভাই হিসেবে তাকে একটু রেগে গিয়ে বলি আমি এসব বক্তব্য দিতে পারবো না আমি আমার কাজে এসেছি। এই ছিল তার সাথে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি পরে স্থানীয় সাংবাদিক সাগর এসে আমাদের ভুল বোঝাবুঝির সমস্যা সমাধান করে দেয়।
সাংবাদিক মিঠু হাসান বলেন, ১৪ সেপ্টেম্বর চাকুরী দেওয়ার নামে টাকা পয়সা ঘঠনার বিষয়ে সকালে মহিলা কলেজ গেট সংলগ্ন মুদি দোকানে পলাশকে নিয়ে আসাদুজ্জামান তার পরিবার মিটিং বসেছে সেখানে আমি সংবাদ সংগ্রহের জন্য যাই ও গোপনে আমি আমার মুঠোফোনে কিছু ভিডিও ধারণ করি এক পর্যায়ে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মানিক ভাইয়ের কাছে বক্তব্য চাই। বক্তব্য চাইলে তিনি রেগে গিয়ে আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে যা আমার সন্মান ক্ষুন্ন হয়। তবে পরে এসে স্থানীয় সাংবাদিক বড় ভাই সাগর বিষয়টি মিটিয়ে দেয়। এই বিষয়ে মানিক ভাই আমাকে আর কোন হুমকি ধামকি দেয়নি।
এ বিষয়ে বদলগাছী থানার ওসি শাহ জাহান আলী বলেন, আমি শুনেছি সাংবাদিক মিঠুর সাথে একটা ঝামেলা হয়েছিল তবে ঘটনাটির সমাধান নিজেরা করে নিয়েছে।