মোঃ নুর উদ্দিন মন্ডল দুলাল নেত্রকোনা। নেত্রকোনায় করিচ্যুত ব্যক্তিদের চাকরিতে পুনর্বহাল ও নিরীহ কারাবন্দী বিডিআর (বর্তমান বিজিবি) সদস্যদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৭ নভেম্বর বুধবার দুপুরে নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের সামনে ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ’-এর ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়। মানববন্ধনে জেলার দেড় শতাধিক চাকরিচ্যুত বিডিআর ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মাবনবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি নায়েক সুবেদার হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো: আকবর হোসেন, জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ম. কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম, সৈনিক আবু নাসের সোহাগ, আব্দুল মোমেন, আসাদুল হক, জাকির হোসেন, আল আমিন, শামীম মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি নায়েক সুবেদার হাফিজুর রহমান বলেন, ছাত্র ও সাধারণ মানুষ সংগ্রামের মাধ্যমে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়েছেন। ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা এ দেশের সেনা কর্মকর্তাদের হত্যার নীলনকশা করেন। সেনা কর্মকর্তাদের খুন ও গুমের পর এ দেশের হাজার হাজার নিরীহ বিডিআর সদস্যকে মিথ্যা মামলার মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়। যাদের মধ্যে এখনো অনেক বিডিআর জওয়ান বিনা বিচারে জেলখানায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
অনেকেই নিখোঁজ আছেন। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ১৮ হাজার ৫২০ জন বিডিআর সদস্যকে বিনা বিচারে কারাবরণ করতে হয়েছে।
জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ম. কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম মানববন্ধনে একাত্ম প্রকাশ করে বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি হত্যা মামলায় যারা জড়িত, তাদের খুঁজে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে। আর যারা নিরীহ ও নিরপরাধ বিডিআর সদস্য চাকরিচ্যুত হয়েছেন, তাদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে। আর যারা এখনো কারাবন্দী আছেন, তাদেরও জেল থেকে মুক্তি দিয়ে চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে।
মানববন্ধনে কয়েক শ চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্য ও তাদের স্বজনেরা উপস্থিত ছিলেন। তারা বিভিন্ন দাবি লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন। এসব প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘খালাস পেয়েও ১৬ বছরে মুক্তি মেলেনি’, ‘স্বামী ছাড়া সন্তানদের নিয়ে আর কত দিনের অপেক্ষা’, ‘আমি বৃদ্ধ মা আর কত কাঁদব’, ‘একজন অসহায় মায়ের কান্না শোনার কি কেউ নেই’ বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ন তারা।
এরকম আরো সংবাদ পড়ুন...