মিলন চন্দ্র দেবনাথ, নওগাঁ: সুষ্ঠু বিচার চেয়ে নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার জগদল আদিবাসী স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার জগদল আদিবাসী স্কুল ও কলেজের) মনোবিজ্ঞান বিভাগের ভুক্তভোগী প্রভাষক মোঃ ছারোয়ার হোসেন গত ১৪ ই অক্টোবর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায় বিধি বহির্ভুতভাবে নিয়োগ ও মামলার তথ্য গোপন করে অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোঃ ইলিয়াস আলম দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন যে, নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার অন্তর্গত জগদল আদিবাসী স্কুল ও কলেজে ১ম গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশকৃত তিনি মোঃ ছারোয়ার হোসেন, প্রভাষক (মনোবিজ্ঞান) হিসেবে গত ২৭ শে অক্টোবর ২০১৬ খ্রিস্টাব্দ তারিখে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। যার স্মারক নং- যা, আ, স্কু, ক/২১০/(৩৫)/১৬।
অতঃপর তিনি অত্র প্রতিষ্ঠানে গত ০১/১১/২০১৬ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। অধ্যক্ষ মহোদয়ের অসহযোগিতার কারণে তিনি (প্রভাষক মোঃ ছারোয়ার হোসেন) দীর্ঘদিন যাবত এম.পি.ও ভুক্ত হতে পারেননি। নিরুপায় হয়ে তিনি এম.পি.ও ভুক্তির জন্য আইনের আশ্রয় নিয়ে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করেন। যার নং-৭০৮৪/২০২১।
অত্র প্রতিষ্ঠানে তিনি যোগদানের পর দ্বিতীয় গণবিজ্ঞপ্তি হতে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত অনেকেই সুপারিশ প্রাপ্ত হয়ে এম.পি.ও ভুক্ত হলেও উনার এম.পি.ও ভুক্তির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। কিন্তু পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশ প্রাপ্তরাও এম.পি.ও ভুক্তির জন্য আবেদন চলমান রেখেছেন। উপরন্তু বিধি বহির্ভুতভাবে সর্বশেষ এম.পি.ও নীতিমালা ও জনবলকাঠামো অনুযায়ী ০৫ (পাঁচ) জন চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর স্থলে বর্তমানে ৯ জন এমপিও ভুক্ত এবং ০৩ (তিন) জন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী স্থলে ৪ (চার) জন এম.পি.ও ভুক্ত।
এছাড়াও কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদটি না থাকলেও এক জনকে নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে যার এম.পি.ও প্রক্রিয়াধীন। নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর উক্ত আবেদনপত্রে তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, প্রতিষ্ঠানের মামলা থাকা অবস্থায় চলমান মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এম.পি.ও আবেদন করলে তা গ্রহণ করা হয় না। কিন্তু মামলা তথ্য গোপন করে একের পর এক নিয়মিতভাবে এম.পি.ও ভুক্তি আবেদন করে এম.পি.ও ভুক্ত হচ্ছেন। যা সম্পূর্ণ এম.পি.ও নীতিমালা বহির্ভূত। অপরদিকে এনটিআরসিএ-এর সুপারিশকৃত প্রার্থীর এম.পি.ও ভুক্তিতে অসহযোগিতা বা কালক্ষেপণের কারণ হিসেবে অধ্যক্ষ মহোদয়ের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সমস্যার সমাধানে নওগাঁ জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট তিনি (প্রভাষক মোঃ ছারোয়ার হোসেন) সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে গত ২৫ শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার জগদল আদিবাসী স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ইলিয়াস আলীর আলম-এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। বিষয়টি যেহেতু হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়িয়েছে তাই তিনি (অধ্যক্ষ মোঃ ইলিয়াস আলম) এ সম্পর্কে বিস্তারিত মন্তব্য করতে চাননি। অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (নওগাঁ জেলার ধামইরহাট উপজেলার জগদল আদিবাসী স্কুল ও কলেজের) ভুক্তভোগী প্রভাষক মোঃ ছারোয়ার হোসেন সর্বশেষ এই বিষয়টির জন্য সুষ্ঠু বিচার প্রার্থনা করেছেন।